ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

পুলিশের অভিযানে কোনঠাসা জঙ্গিরা (ভিডিও)

জুবায়ের সানি

শনিবার, ০১ জুলাই ২০১৭ , ১২:১০ পিএম


loading/img

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গেলো এক বছরে বেশকিছু জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন  ৬৫ জন জঙ্গি। এদিকে গেলো বছর রমজান মাসে গুলশান হামলার মাধ্যমেই নব্য জেএমবি তাদের নাশকতার সামর্থ্যের জানান দেয়। এরপর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাশায়ী হতে থাকে জঙ্গিরা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ মনে করছে, এসব অভিযানের সফলতার কারণে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে আরো সফলতার জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।

অন্যদিকে গুলশানের ঘটনার সাত দিনের মধ্যেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আবীর রহমান নামে এক জঙ্গি। আহত অবস্থায় আটক হন শফিউল নামে আরেক জঙ্গি। এছাড়া গেলো বছরের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের তাজ মঞ্জিলে অভিযানে নিহত হন আরো ৯ জঙ্গি।

বিজ্ঞাপন

২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় অভিযানে মারা যান নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহম্মেদ চৌধুরীসহ তার দুই সহযোগী তাওসিফ হোসেন ও ফজলে রাব্বী। ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত হন মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম। ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাড়িতে অভিযানে নিহত হন নব্য জেএমবি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা তানভীর কাদেরি।

গেলো বছরেরই ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর আশকোনায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অভিযানে আত্মঘাতী হামলায় মারা যান শাকিরা নামে এক নারী জঙ্গি। 

এদিকে চলতি বছরের ২৪ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় অভিযানে নিহত হন চার জঙ্গি। তবে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন সদস্য।

বিজ্ঞাপন

এরকম বিভিন্ন অভিযানের কারণে জঙ্গিরা অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। 

বিজ্ঞাপন

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সফলতা থাকলেও পুলিশের কিছু কর্মকাণ্ড এসব অভিযান নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। নব্য জেএমবির অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মেজর জিয়াকে ধরতে পারলে জঙ্গিদের আরো কোনঠাসা করা সম্ভব হবে বলেও জানান তারা।

 

আরকে/ এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |